আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাটে আসছে বিশাল বিশাল আকারের গরু। রাজধানীর গাবতলী হাটে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় গরুর তকমা জুটেছে 'বাজারের রাজা'র গায়ে।
হাটে ক্রেতাসহ উৎসুক জনতা ভিড় করছেন ষাড় গরুটি দেখতে। বিক্রেতা বাজারের এ রাজার দাম হাঁকছে ২৮ লাখ টাকা। ক্রেতাদের তরফ থেকে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ দাম উঠেছে ১৮ লাখ টাকা।
গাবতলীর হাটের এবারের আর্কষণ ‘বাজারের রাজা’ নিজেই। আর কেনই বা হবে না। ‘বাজারের রাজা’ যে ৪২মণ ওজনের বিশালদেহী অস্ট্রেলিয়ার পিউর ফ্রিজিয়ান বিটের গরু। প্রথমে দেখলে অনেকেরই হঠাৎ মনে হতে পারে কোনো গরু নয় এ যেন আস্ত এক বিশাল হাতি। আর এমন বিশালদেহী ও ওজনের কারণে ‘হাটের রাজার’ ব্যাপারী আবেগাপ্লুত হয়ে তো বলেই ফেলেছেন এইটি নাকি এখন পর্যন্ত বাংলাদেশর সব থেকে বড় গরু।
বিশালদেহী গরুটি সম্পর্কে ব্যাপারী রাজু বলেন, ২০১৩ সালে ‘বাজারের রাজা’ জন্ম। পিউর ফ্রিজিয়ান বিটের এই গরুটি সরাসরি অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানি করা হয়েছে। বিগত ৫ বছরে ধরে গরুটিকে আমরা সিরাজগঞ্জের একটি খামারে লালন পালন করি।
তিনি বলেন, গরুটির নেট ওজন ১৭’শ কেজি অর্থাৎ সাড়ে ৪২ মন। আমরা শুক্রবার গরুটিকে হাটে তুলি। এর পর থেকে মানুষজনের ভিড় বেড়ে চলেছে। মানুষ জনের এমন ভিড় দেখে খুব গর্ব হচ্ছে আমাদের। আর মানুষজন ডাকে ‘বাজারের রাজা’। এর পর থেকে এই গরুর নাম ‘বাজারের রাজা’।
ইত্তেফাক/কেকে


কালো মানিকের খাবারের জন্য প্রতিদিন প্রায় হাজার খানেক টাকা ব্যয় করেছেন দুলাল। কালো মানিকের খাবারের তালিকায় আছে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ কেজি ভেজানো ছোলা, গমের ভুসি এবং কাঁচা ঘাস।
ফ্যানের বাতাস ছাড়া কালো মানিক থাকতে পারে না। বিদ্যুৎ না থাকলে কালো মানিকের জন্য জেনারেটরের ব্যবস্থাও আছে। প্রতিদিন কয়েকবার করে গোছল করাতে হয় এই গরুটিকে। গোছলের পর আবার শুকনা কাপড় দিয়ে শরীরের পানি মুছে ফেলতে হয়। নাহলে ঠান্ডা লেগে যায় কালো মানিকের।
প্রায় বার বছর ধরে গরুর ব্যবসা ও লালন পালন করেন দুলাল মিয়া। কালো মানিক সমন্ধে জানতে চাইলে দুলাল জানান, ‘কালো মানিকের বয়স প্রায় চার বছর। গাবতলী হাটে আনার আগে মেশিনে গরুটিকে ওজন করলে ওজন পাওয়া হয় ১২শ কেজির একটু বেশি।’
দুলাল মিয়া কালো মানিকের দাম চাইছেন ২০ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে ক্রেতারা ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত দর-দাম করেছেন এই গরুটির। ১৫ লাখের কাছাকাছি দাম পেলেই কালো মানিককে বিক্রি করে দিবেন বলে জানান দুলাল।